পাঁচটি প্রশ্ন

আত্মসর্বস্ব সুখ নয়, জীবনবোধের প্রেষণায় লিখি : গোলাম কিবরিয়া পিনু

শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২১ | ৩:৩০ অপরাহ্ণ | 893 বার

আত্মসর্বস্ব সুখ নয়, জীবনবোধের প্রেষণায় লিখি : গোলাম কিবরিয়া পিনু

বইদেশ-এর একটি নিয়মিত আয়োজন পাঁচটি প্রশ্ন। লেখক-প্রকাশকের কাছে বই প্রকাশনাসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্নগুলো করা। আজকের পাঁচটি প্রশ্ন আয়োজনে আমরা মুখোমুখি হয়েছি  খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক গোলাম কিবরিয়া পিনুএর


প্রথম বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এমএ পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হওয়ার আগেই ঢাকায় ১৯৮৩ সালের শেষে এসে চাকরি নিয়ে থিতু হলাম। সেই সময়ে কবিতা লেখার গোপনীয় স্পর্ধা নিয়ে নিজের ভেতর এক ধরনের চঞ্চলতা ছিল। সেই চঞ্চলতার রেশ নিয়ে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এখন সাইরেন বাজানোর সময়’ বের হয় ১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে, একুশের গ্রন্থমেলা উপলক্ষ্যে নয়, তখন মেলা উপলক্ষ্যে এখনকার মতো বই বের হতো না, মূলত বছরের অন্যান্য সময়ে বেশি বই বের হতো। তবে, বছরের অন্যান্য সময়ে প্রকাশিত বই মেলায় বিক্রি হতো।  এই বইটি বিক্রি হয়েছিল ১৯৮৫-এর একুশের গ্রন্থমেলায়, প্রকাশকের স্টলসহ অন্যান্য স্টলে, তখন এক প্রকাশকের বই অন্য প্রকাশকের স্টলে বিক্রি করা যেত। বইটি বের হয়েছিল বাংলাবাজারের ‘পাণ্ডুলিপি’ থেকে, প্রকাশক ছিলেন লক্ষণ চন্দ্র সাহা। সেই সময়ে নির্মলেন্দু গুণ, মাসুদ বিবাগী ও আমার কাব্যগ্রন্থ একসাথে বের হয়েছিল এই প্রকাশনা থেকে। সেই ‘পাণ্ডুলিপি’ এখন নেই, প্রকাশক  লক্ষণ চন্দ্র সাহা’র খোঁজ এখন আমার অজানা! তবে, মনে আছে প্রকাশক লক্ষণ চন্দ্র সাহা’র সাথে নির্মলেন্দু গুণ ও মাসুদ বিবাগী’র বেশ সখ্য ছিল। আমিও ‘পাণ্ডুলিপি’তে গিয়েছি, প্রকাশক লক্ষণ চন্দ্র সাহা’র সাথে আমারও সংক্ষিপ্ত আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তাঁর মুখটি এখনো উজ্জ্বলভাবে মনে পড়ে! বিশেষ করে বইমেলা বা বইয়ের কথা মনে হলে! আমার প্রথম বইয়ের প্রকাশক হিসেবে তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে। এখনো আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এখন সাইরেন বাজানোর সময়’ বের হওয়ার অনুভুতি অনুভব করি,কী এক আবেগ ও শিহরন নিয়ে বইটি বের করেছিলাম! রাত জেগে ৬৩ হৃষিকেশ দাস রোডের তাহের আর্ট প্রেস থেকে বইটি কালিমাখা অবস্থায় ছেপেছিলাম! ৪৮পৃষ্ঠার বইটির দাম ছিল বারো টাকা। বইটির প্রচ্ছদ ও নামের  লেটারিং আমি নিজে করেছিলাম দুই রংয়ে, অন্য নামে। প্রচ্ছদটি একেবারে খারাপ হয়নি, প্রশংশিত হয়েছিল। মনে পড়ে বইটির বিজ্ঞাপন ‘সচিত্র সন্ধানী’তে ছাপা হয়েছিল কয়েক সংখ্যায়, পত্রিকাটিতে তখন আমার কবিতা ছাপা হয়েছিল, এই সূত্র ধরে বিজ্ঞাপনটি ছাপা হয়। এ বিষয়ে কথাসাহিত্যিক সুশান্ত মজুমদার বিশেয় সহায়তা করে ছিলেন, তখন তিনি এই পত্রিকাটির সাথে যুক্ত ছিলেন। সাপ্তাহিক একতাসহ আরও কিছু পত্রিকায় বইটির বিজ্ঞাপন ও খবর বের হয়েছিল। পরবর্তিতে বেশ কিছু আলোচনাও ছাপা হয়। সেই সময়ে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য এলাকার মধ্যে সড়ক ও প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ এখনকার মতো ছিল না, গণমাধ্যমেরও এতটা বিকাশ হয়নি। বলতে দ্বিধা নেই, কবি হয়ে ওঠার এক ধরনের প্রেষণা নিয়ে ঢাকায় আসা এবং সেই প্রেষণার আওতায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হওয়ায় স্বপ্ন ছুঁয়ে আনন্দ অনুভব করেছিলাম। উল্লেখ্য, এই কবিতার বইটি যখন বের হয়- তার অনেক আগে থেকেই গাইবান্ধা অবস্থান করার সময় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ঢাকার উল্লেখযোগ্য দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীতে আমার কবিতা নিয়মিত কবিতা ছাপা হচ্ছিল। আরও উল্লেখ্য, স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রিত সরকার রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ধারাকে তখন করছিল-বাধাগ্রস্ত। এ সময়ের মতো ছিল না কম্পিউটার শাসিত প্রকাশনা-শিল্প। বইমেলা তখন এতটা বি¯তৃত ছিল না। অল্পকিছু প্রকাশক ও কবি-লেখকরা নিজেরা স্টল সাজিয়ে বসত।

 

লেখালেখির ইচ্ছেটা কেন হলো?

মুক্তিযুদ্ধের এমন এক পরিবেশের মুখোমুখি আমরা তখন, একদিকে বিধস্ত অবকাঠামো ও স্বজন হারানোর বেদনার্ত সময়, আর অন্যদিকে নতুন করে গড়ে উঠবার উদ্দীপনা ও স্বপ্নের আন্দোলিত প্রেষণা। এমন সময়ের কণ্ঠলগ্ন হয়ে কিশোর বয়সের জীবন ছিল তখন। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাঘর করছি, করছি ছাত্র সংগঠন, অংশ নিচ্ছি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে।নিয়মিত পাবলিক লাইব্রেরিতে যাচ্ছি । এমন পরিবেশ নিয়ে ছোট শহর গাইবান্ধায় বেড়ে উঠছি। তখন বের হতো স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ দিবস উপলক্ষে বহু সংকলন। আর এসব সংকলনে প্রথম দিকে আমার কবিতা ছাপা হতে থাকে। হতো নিয়মিত সাহিত্যসভা ও অনুষ্ঠান। এগুলোর সংগঠক ও অংশগ্রহণকারী ছিলাম আমিও। আর কবিতা রচনা প্রতিযোগিতায়ও পেয়ে যাচ্ছিলাম পুরস্কার। এমন অনুকূল পরিবেশ পেয়ে কবিতা ধরা দিতে শুরু করে। গাইবান্ধা থাকাকালীন সময়ে তখনই জাতীয় পত্র-পত্রিকায় কবিতা ছাপা শুরু হতে থাকে, এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার লিটল ম্যাগাজিনেও। পরবর্তিতে শুধু কবিতা লিখব, সাহিত্যের সাথে যুক্ত থাকব বলেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অনার্সে ভর্তি হই, তখন আরও কবিতা লেখায় উদ্দীপিত হতে থাকি, কবিতার সাথে তখন সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে ওঠে। জাতীয় পত্র-পত্রিকায় তখন আরও কবিতা ছাপা হতে শুরু করে। এমন ভাবেই কবিতার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে। আমিও বুঝেছি কিশোর বয়সেই- কবিতা লেখায় আমার ভবিতব্য। শুধু কবিতা লিখব, বা লেখালেখি করব এটাই ছিল জীবনের মূল লক্ষ্য। কিশোর বয়সেই অন্ধকারের দিগন্ত চিড়ে বুঝতে পেরেছিলাম, অনেক পথই হাতছানি দিচ্ছে, কিন্তু সেইসব হাতছানি পরিহার করে কবিতার পথই থাকতে হবে আমাকে। বহু কিছু ছাড় দিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে একাকী অনেক গলিপথ-ঘুরপথ ঘুরে-ফিরে নিজেকে কবিতার জন্য রক্ষা করতে হয়েছে। কখনো কখনো উন্মাতাল সময়ের মুখোমুখি হয়েছি, কত রকমের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ  করতে হয়েছে কিশোর বয়স থেকে আজ অবধি। দর্শন-নৈতিকতার শিক্ষা,  নিজের ভেতরে রেখে–সৃজনশীল শক্তি আর সাহস নিয়ে এখনো এগিয়ে চলছি।

লেখাকে একটি সংগ্রাম হিসেবে মনে করি, তাই লেখকমাত্রই সংগ্রামরত। একদিকে লেখক তার নিজের বোধ ও দর্শনকে সংহত করেন, আবার অন্যদিকে সমাজের অন্যান্য মানুষের রুচি ও মনোভাব লেখার প্রশ্রয়ে সূক্ষ্মভাবে তা নিমার্ণ করেন। এ এক মিথস্ক্রিয়া : গ্রহণ ও বর্জন, নেওয়া ও দেওয়া, অপূর্ণ ও পূর্ণতা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য পঠন-পাঠন ও সামাজিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি; এর ফলে আমার ভেতর যে বোধ রয়েছে- তা কবিতার মধ্যে দিয়ে পাঠকের বোধের মধ্যে সঞ্চারিত করতে লিখি। কবিতা নিছক আনন্দের বিষয় নয়, চৈতন্যের  বহু স্তর উন্মোচিত করে। জীবনের খণ্ডখণ্ড অনুভূতির মধ্য দিয়ে জীবনের তাৎপর্য কবিতায় উন্মুক্ত করতে পারি-সেজন্যও লিখি। কবিতা মানুষকে ভাবায়, ভাবতে শেখায়, জাগিয়ে তোলে, কৌতূহল সৃষ্টি করে। কবিতা সমকালের হয়েও আগামীকালের ও চিরকালের হয়ে উঠতে পারে। ভালো কবিতার শিল্প-সৌন্দর্য স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময় অনুভূতির জন্ম দেয়। এজন্য আরো লিখি যে-কবি অগ্রজ্ঞান নিয়ে অগ্রগামী থাকেন, এই মর্যাদায় কবির যে দায় রয়েছে-তা পালনের জন্যও লিখি। নিছক আত্মসর্বস্ব সুখকে গুরুত্ব না দিয়ে জীবনবোধের প্রেষণায় লিখি। কবিতা লিখে যে আনন্দ, স্বাধীনতা, স্পর্ধা ও জীবনের বিভিন্ন দিক সূক্ষ্মভাবে উন্মোচনের যে অধিকার পাই, তা আর অন্য কাজে পাই না; তাই লিখি। যা কিছু অনৈতিক, অন্যায়, নৈরাজ্যপূর্ণ ও নেতিবাচকতা-তার বিরুদ্ধে এক ধরনের নিজের বিবেচনাবোধ তুলে ধরার জন্য মানুষের কণ্ঠলগ্ন হয়ে লিখি। মানুষের চেতনা ও ভাবজগৎ ছুঁয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এক ধরনের অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে লিখি। এজন্য নিজেকেও রূপান্তর করি-লেখাকেও রূপান্তরিত করি।

 

লেখক জীবনের  মজার কোনো  অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

লেখালেখি নিয়ে কিছু কৌতুহল জাগানো বিশেষ ঘটনা অনেক আছে, আমার কবিতার বই ২০০১ সালে ‘আমরা জোংরাখোটা’  যখন বের হলো, তার কিছুদিন পর প্রখ্যাত লেখক বিপ্রদাশ বড়ুযা আমাকে ডেকে নিয়ে, এই বইটি নিয়ে তার সুন্দর হাতের লেখায় বেশ দীর্ঘ এক আলোচনা তুলে দিলেন আমার হাতে, আমি চমকে গেলাম, বিস্ময়াভূত হলাম। আমি কখনো তাকে বলিনি আমার বই নিয়ে লিখতে, তিনি স্বইচ্ছেয় লিখেছেন।  আমার মনে পড়ে না, আমি কখনো আমার বই বা লেখালেখি সম্পর্কে লেখার জন্য বন্ধুবান্ধব বা কোনো লেখককে অনুরোধ করেছি। তারপরও আন্তরিকভাবে আমার বই ও লেখালেখি সম্পর্কে লিখেছেন, অনেকে- তাদের  প্রতি কৃতজ্ঞ। ২০১৪ সালে লেখক-গবেষক অনুপম হাসান, তাঁর ‘রাঢ়বঙ্গ’ পত্রিকায় আমাকে নিয়ে অনেক লেখকের লেখা নিয়ে ‘ক্রোড়পত্র’ বের করলেন, আমার এখনো কৌতুহল জাগে-বিস্ময়াভূত হই, কেনো তিনি এমন কাজটি করলেন। আমার অনুরোধ ও ইচ্ছে ছাড়াই তিনি এই কাজটি করেছেন, কী যত্নে! এতে যারা লিখেছেন, তাদের সব লেখাই সম্পাদক সংগ্রহ ও নির্বাচিত করেছেন। এই ‘ক্রোড়পত্র’ –এ যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সদ্য প্রয়াত কবি-লেখক হিমেল বরকত এই ‘ক্রোড়পত্র’-এ আমার মুক্তিযুদ্ধের কবিতা নিয়ে দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন, তাকে আজ বিশেষভাবে স্মরণ করছি। লিখেছেন তো অনেকে, লিখেছেন, আমার কবিতা নিয়ে প্রয়াত কবি-প্রাবন্ধিক-গবেষক উত্তম দাশ থেকে তরুণ কবি-প্রাবন্ধিক মামুন রশীদ। অধ্যাপক মাহবুবুল আলম ‘বাংলাদেশের সাহিত্য’ নিয়ে প্রায় ৮০০ পৃষ্টার বই লিখেছেন, কবিতার অধ্যায়ে আমাকে উল্লেখ করে লিখেছেন, তারপরও প্রবন্ধ অধ্যায়ে আমার গবেষণামূলক কাজ নিয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য কথা বলেছেন, তা জেনে ২০২০ সালে বইমেলায়  বইটির প্রকাশক ‘খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি’র স্টলে অধ্যাপক মাহবুবুল আলমের ঠিকানা ও ফোন নম্বার চাইতে গিয়ে জানলাম-তিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা। কবি-প্রাবন্ধিক মনজুরে  মওলা সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের কবিতা ১৯৪৭-২০১৭’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে, এই সংকলনে দূরবর্তী থেকেও আমার কবিতা নিয়েছেন, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। ২০২০ সালের  ১ নভেম্বর  প্রখ্যাত সম্পাদক আবুল হাসনাত আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন,  তিনি প্রায় ৩০ বছরের অধিককাল ধরে নিয়মিত ‘সংবাদ সাময়িকী’ ও ‘কালি ও কলম’-এ আমার লেখা ছাপিয়েছেন, তা কি কখনো ভোলা যায়।  এমন আরও বহুজনের ভালোবাসা ও আশ্রয়ে আমার এই ক্ষুদ্র লেখক জীবন ধন্য হয়েছে, হচ্ছে-তাঁদের সকলের নাম উল্লেখ করা সম্ভন না হলেও-তাঁরা আমার হৃদয়ের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সবসময়ে সম্মানের সাথে রয়েছেন।

 

বাংলাদেশের সৃজনশীল লেখালেখির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।

একুশে বইমেলা প্রকাশনার এখনো অন্তঃপ্রাণ, সেই প্রকাশনা শিল্পের এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। লেখক ও প্রকাশকের পেশাদারিত্বের বিষয়টি কাঙ্খিত পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার আরও সুযোগ রয়েছে। লেখকের পাণ্ডুলিপি গ্রহণ ও বিবেচনার করার ক্ষেত্রে অনেক প্রকাশকের আগ্রহ ও নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে । সম্মানি ও অন্যান্য দিকও বিবেচনা করা হয় না। প্রকাশকও বেড়েছে, লেখকও বেড়েছে কিন্তু উভয়ের মঙ্গলের জন্য আরও বোঝা-পড়ার গভীরতা বাড়ানো দরকার। আমাদের বইয়ের প্রকাশনার মানও বাড়ছে, লেখার মানও বাড়ছে, তা আরও শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো প্রয়োজন। প্রকাশক ও লেখকের মধ্যে যত বোঝাপড়া বাড়বে, পেশাদারিত্বের দিকটি যত শক্তিশালী হবে, ততই সৃজনশীল লেখালেখির ভিত্তিটাও শক্তিশালী হবে।

 

লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন?

বহুবছর আগে থেকে বিশেষ কিছু লেখার জন্য ছক, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আছি, সেসব লিখতে পারলে, ধন্য হতাম, কিন্তু তার বাস্তবায়ন কতটুকু করতে পারব, জানিনে!

 


[ বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : boideshnews@gmail.com ]

 

 

Facebook Comments Box

কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Design & Development by: TeamWork BD