বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর সোসাইটির সম্মানিত সদস্যদের পরিদর্শনের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি ২০১৯ সকাল ৯.৩০ ঘটিকা হতে ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া সাধারণ দর্শকদের জন্য প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে বেলা ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুক্রবার বেলা ১.০০ ঘটিকা থেকে ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নামাজের বিরতি।
উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর। ঢাকার আদি নবাবদের স্মৃতি বিজড়িত নিমতলী প্রাসাদ- বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাকে সংরক্ষণ করে তাতে ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতাব্দীর সময়কালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের পাশাপাশি একে একটি শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরটি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার অন্যতম কেন্দ্র। উপরন্তু এটিকে শিক্ষা ও বহুমুখী গবেষণা ও পর্যটকদের একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সর্বোপরি সাধারণ ঐতিহ্য পিয়াসী নাগরিক, দর্শক, ঢাকা প্রেমিক, গবেষক ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট অতীত ঐতিহ্য তুলে ধরা এই জাদুঘরের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।
ঢাকার মোগল নায়েব-নাজিমদের জন্য ২৫০ বছর পূর্বে নির্মিত প্রাসাদ ভবনের মূল অংশ সংরক্ষণের অভাবে ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটি অংশ বর্তমানে বিদ্যমান যা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানী ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উদযাপন কর্মসূচির আওতায় ২০০৯-২০১১ সালে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার না করায় পুনরায় তা কার্যকারিতা হারাচ্ছিল এবং স্থায়ীভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল। এই ভবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই ভবনে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। ১৭০০-১৯০০ সাল পর্যন্ত ঢাকা এবং পূর্ব বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও জীবনভিত্তিক নিদর্শন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এ সব নিদর্শন ঢাকার বহু বনেদী ও সংস্কৃতিবান পরিবার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাদুঘর পরিদর্শনের হন্য দর্শকদের প্রবেশ মূল্য ২০/- টাকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ১০/- টাকা। বিদেশী দর্শকদের জন্য ২০০/- টাকা ।
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD