পাঁচটি প্রশ্ন

কবিতার ভবিষ্যৎ চিরকালই ধূসর

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | 33 বার

কবিতার ভবিষ্যৎ চিরকালই ধূসর

বইদেশ-এর একটি নিয়মিত আয়োজন পাঁচটি প্রশ্ন।
লেখক-প্রকাশকের কাছে বই প্রকাশনাসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্নগুলো করা। আজকের পাঁচটি প্রশ্ন আয়োজনে আমরা মুখোমুখি হয়েছি সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় তরুণ লেখক জাকারিয়া স্বাধীন-এর


আপনার প্রথম কবিতার বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? পাঠকদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন? 

ধন্যবাদ! দীর্ঘ বাইশ বছরের স্বপ্ন ছিল বই প্রকাশ করার। অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এ প্রথম বই ‘কবির ভাষা কবিতার ভাষা’ প্রকাশ ছিল শিক্ষণীয় এবং পাঠকের কাছে পৌঁছানোর রোমাঞ্চকর  অভিজ্ঞতা। এখানে আমার ভরপুর আবেগ কাজ করেছে। একপর্যায়ে মনে হয়েছে লেখক হিসেবে পেশাদারিত্বের ঘাটতি প্রকট। পাশাপাশি প্রকাশনী এবং বিপণনও এর বাইরে নয়। পাঠকের সাড়ায় আমি অভিভূত। তাদের প্রতিক্রিয়া আমাকে তীব্র শীত শেষে রুক্ষ প্রকৃতিতে ফাগুনের প্রথম বৃষ্টির মতো  ভিজিয়েছে।

 

কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ কিভাবে এবং কখন তৈরি হলো? কোনো বিশেষ ঘটনা বা অনুপ্রেরণা আছে কি?

মানুষ-প্রকৃতি-সময়-বাস্তবতা-ক্রিকেট বিশেষ করে দেশ ও রাজনীতি আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। এগুলোই কবিতার প্রতি আগ্রহী করেছে। এর প্রতিটিই বিশেষ। যা বিভিন্ন কবিতায় বারবার এসেছে।

 

আপনার মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের কবিতার পাঠক ও লেখার মান কেমন? এর ভবিষ্যৎ কিভাবে দেখেন?

সব সময়ের জন্য কবিতার পাঠকই সাহিত্যের প্রকৃত পাঠক। গল্প-উপন্যাসের পাঠক নদীর বাঁক আর চড়ের মতো বিভিন্ন পর্যায়ে আটকে যায় এবং একপর্যায়ে হারিয়েও যায়। আর  প্রবন্ধ ও গবেষণাধর্মী লেখার অধিকাংশ পাঠক শেষ পর্যন্ত পেশার স্বার্থান্বেষণে জীবন পার করে দেয়। অবশেষে  কবিতার পাঠকই থাকে কবিতা ঘিরে। তবে একটি বিষয়, একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের মননশীলতায় বিরাট ঝাঁকুনি দিয়েছে। এর প্রভাবে এক রকম অস্থিরতা পাঠকের মাঝেও রয়েছে। নতুন অনেক কবিই  ভালো লিখছেন। তবে কোন কবিতা কালের গর্ভে টিকে থাকবে তা এখনই বলা যাবে না। কালোত্তীর্ণ প্রত্যেক কবিই বেঁচে থাকেন পরবর্তী প্রজন্মে। কবিতার ভবিষ্যৎ চিরকালই ধূসর। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে পাঠকের কাছে পৌছানো খুব সহজ। কবি নিজে আবৃত্তি করতে পারলে আরও সহজেই পাঠককে স্পর্শ করা সম্ভব।

 

আপনার কবিতার বিষয়বস্তু বা ভাবনার ক্ষেত্রসমূহ কীভাবে বেছে নেন?

এই প্রশ্নটির উত্তর আগেই অনেকটা দিয়েছি। এর প্রতিটিই আমাকে ভীষণ আঘাত করে। নদীর কচুরিপানার মতো এসবে ভেসে থাকি। স্রোত থাকলে চলি। অনেক সময় চারপাশের অব্যবস্থাপনাও কবিতায় আসে। একটি কথা জোড়ালোভাবে বলতে চাই, সব বিষয় আর লেখা কিন্তু কবিতা হয় না। অনেক লেখার অর্থ হয় না। আবার কখনো অর্থহীন লেখাই অমূল্য কবিতা হয়। তাই কবিতার কোনো সীমাবদ্ধ ক্ষেত্র নেই।

 

ভবিষ্যতে আর কী ধরনের লেখালেখি করতে চান? কবিতার বাইরে অন্য কোনো ধরনের লেখার ইচ্ছা আছে কি?

সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। গান ও ছোটোগল্প লেখার চেষ্টা করি। জাতীয় প্রয়োজন-সমস্যা ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত লিখছি।

 


[ বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : boideshnews@gmail.com ]

Facebook Comments Box

কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Design & Development by: TeamWork BD