প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ‘একুশে বই উৎসব ২০২১’। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ স্লোগানকে ধারণ করে এই বই উৎসবের আয়োজন করছে পাবলিশার্স ফোরাম।
রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই বই উৎসবের আয়োজন করছে কর্তৃপক্ষ। এতে অংশ নিচ্ছে প্রায় পঞ্চাশটি প্রকাশনী।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উৎসবের আহ্বায়ক ও সমগ্র প্রকাশনের প্রকাশক শওকত আলী তারা।
লিখিত বক্তব্যে শওকত আলী তারা বলেন, ‘বায়ান্নের মহান ভাষাশহীদদের জন্য উৎসর্গিত পুরো মাসটি (ফেব্রুয়ারি) বইমেলার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। বাঙালির জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক চেতনাকে তীব্রভাবে শাণিত করে এই মাস। তাই একুশের এই চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং আমাদের ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে যাচ্ছি ৭ দিনব্যাপী ‘একুশে বই উৎসব ২০২১’।’
উৎসবের আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘দেশের অনেক শিল্পকে সরকার নানাভাবে করোনার জন্য ক্ষতিপূরণ বা অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য-সহযোগিত করেছেন। কিন্তু আজ অবধি প্রকাশনা শিল্পসংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রীয় কোনো প্রণোদনার অন্তর্ভুক্ত হয়নি! আমরা এ নাজুক পরিস্থিতিতে একরকম বাধ্য হয়েই আমাদের প্রকাশিত বই বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
শওকত আলী তারা বলেন, ‘বই উৎসবে ক্রেতারা ২৫ শতাংশ কমিশন পাবেন। প্রতিদিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের ৩ জন বইক্রেতার জন্য থাকবে বিশেষ পুরস্কার। মানসম্মত নতুন বইয়ের জন্য ৩ জন প্রকাশককেও দেওয়া হবে পুরস্কার।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়তী প্রকাশনীর প্রকাশক মাজেদুল হাসান পায়েল, গদ্যপদ্য প্রকাশনীর প্রকাশক আনোয়ার শাহাদাত, আবিষ্কার প্রকাশনীর প্রকাশক দেলোয়ার হাসান ও মহাকাল প্রকাশনীর প্রকাশক মনিরুজ্জামানসহ অনেকে।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজন করা এই বই উৎসব চলবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে স্টলগুলোতে পাওয়া যাবে পাবলিশার্স ফোরামের বিভিন্ন প্রকাশকদের বই।
দেশের বই পোর্টালে লেখা ও খবর পাঠাবার ঠিকানা : desherboi@gmail.com
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD