পাঠক প্রোফাইল

পাঁজরে লুকােনো গল্পগুলো বর্ণরূপ দিতে চাই

বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০ | ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | 1026 বার

পাঁজরে লুকােনো গল্পগুলো বর্ণরূপ দিতে চাই

॥ মুনীরা ফেরদৌসী ॥

আমি মুনীরা ফেরদৌসী। জন্ম পদ্মাতীরবর্তী শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে।
নড়িয়া একটি মফস্বল শহর। এর আলো বাতাসেই আমার বেড়ে ওঠা। নড়িয়া বি.এল. মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও নড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসির পর ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ডিগ্রী অর্জন করি জেড.এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষায় মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে পড়াশোনা করলেও বাংলা ও বাংলা সাহিত্যের প্রতি টান যে রক্তে, মন ও মগজে! হৃদয়ে সাহিত্য রস তো এখান থেকেই সৃষ্টি।

 

প্রথম বই পড়া ঠিক কবে থেকে তা সেভাবে মনে নেই। তবে স্কুলজীবনে পাঠ্য বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে প্রচুর ম্যাগাজিন পড়তাম। বাবা নিয়মিত খবরের কাগজ পড়তেন। সপ্তাহান্তে কাগজের ভেতর ম্যাগাজিন থাকত। আমি উন্মুখ হয়ে থাকতাম। আর কাগজের সাহিত্য পাতা কখনোই মিস হয় না। এরপর চোখ পড়ে বাবার নিজস্ব বইয়ের আলমারির দিকে। তখন ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। রাত দশটার পর বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে লুকিয়ে আলমারি থেকে বই নিয়ে পড়তাম। কারণ বাবার বইয়ে হাত দেয়া নিষেধ ছিল। ওখান থেকেই পড়েছি শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’, হুমায়ুন আহমেদের ‘চলে যায় বসন্তের দিন’, ‘তোমাদের এই নগরে’; বাসন্তী গুহঠাকুরতার ‘একাত্তরের স্মৃতি’। পুরনো ট্রাঙ্ক খুলেও পড়েছি অনেক বই। সব মনে নেই। সে সময়ে গল্প উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীদের স্থলে নিজেকে কল্পনা করে নানান কিসিমের স্বপ্ন বুনতাম। আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ইংরেজি সাহিত্য পড়াকালীন ইউরোপীয় সাহিত্যের জোয়ারের ঢেউয়ের তালে মন গড়িয়েছে বেশ কিছুদূর। এরপর আবার মন ছুঁয়ে গেছে হিমু, মিসির আলী, শ্রীকান্তরা।
শখের কথায় আসি। এই ঝুলির ওজন অনেক। তবুও কিছু বলতেই হয়। বই পড়া, ছবি আঁকা, হ্যান্ডিক্রাফট তৈরি, হাতের কাজ করা, পুরনো দিনের গান শোনা, টুকটাক লেখালেখি, ভ্রমণ, আবৃত্তি; থাক আর বলবো না।
আরেকটি ব্যাপার আছে। প্রকৃতিপ্রেম ও জীবপ্রেম। ভরদুপুরে বসন্তের বৃক্ষপল্লবের নতুন রং আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। নেশা লাগে, কিন্তু তার ঘোর কাটে না।
ঘুমের ঘোরে বা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা আমার স্বভাব। স্বপ্ন আছে অনেক কিছু করার।
প্রাপ্তি বলতে আছে স্কুল-কলেজে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কিছু পুরষ্কার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, নানারকম অনুষ্ঠান আয়োজন, আর দু-একটি ম্যাগাজিনে লেখার সুযোগ।
বই নিয়ে আমার নিজের একটা আলাদা জগত গড়তে চাই। সেটা ঠিক কী রূপে হবে তার চিন্তা-ভাবনা চলছে। সৃজনশীল পাঠক হতে চাই। আর পাঁজরে লুকােনো গল্পগুলো বর্ণরূপ দিতে চাই।
আর চাই, পৃথিবী বইয়ের হোক।

 


[ আপনি যদি বইপ্রেমী পাঠক হয়ে থাকেন, আপনার সম্পর্কে, আপনার বই পড়া সম্পর্কে, আপনার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ পাঠক প্রোফাইল পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইলে। আপনার প্রোফাইল প্রকাশিত হবে আমাদের অনলাইলে। এছাড়া  বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : boideshnews@gmail.com ]


Facebook Comments Box

কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Design & Development by: TeamWork BD