কলেজে পড়ার সময় প্রায় পাঁচশত বই সংগৃহীত ছিল

সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | ৭:১১ অপরাহ্ণ | 691 বার

দেশের অন্যতম সেরা সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ভাষাচিত্র। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিজস্ব চিন্তা-চেতনা, নতুনত্ব আর আদর্শিক ভাবনা থেকে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রাপথ চলমান। সামাজিক যোগাযোগ্যমাধ্যম ফেসবুকে ‘ভাষাচিত্র বুক ক্লাব’-নামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে সারাদেশের বইপ্রেমী পাঠকদের সঙ্গে একটি যোগসূত্র স্থাপনের অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই গ্রুপে পাঠকদের নিয়ে একটি ইউনিক আয়োজন পাঠক প্রোফাইল। পাঠকগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের সম্পর্কে গ্রুপে পোস্ট দেন। নির্বাচিত পোস্টগুলো আমরা দেশের বই পোর্টাল-এ প্রকাশ করি। আজ প্রকাশিত প্রকাশিত হলো রুলি মিলকী -এর প্রোফাইল


 

আমার জন্ম ২ মে, বগুড়া শহরে। বর্তমানে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস। বগুড়া আযিযুল হক কলেজ এন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছি। একটি স্কুলে শিক্ষকতা এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত আছি। তারপরেও মাঝে মাঝে আমি কিছু বিক্ষিপ্ত আনন্দ উপভোগ করি। ২/৪ জন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই।

বই পড়াটা পারিবারিক সূত্রে পাওয়া। আম্মা ছিলেন সরকারি গার্লস স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা। আম্মাই বই পড়তে দিতেন, তখন কত ছোট ছিলাম তা মনে নেই। কি বই পড়েছিলাম সেটাও মনে নেই। যতদূর মনে পড়ে ক্লাস টুতে রাশিয়ান রূপকথা ও ছোটদের বিশ্বকোষ দিয়ে শুরু। এরপর ১৯৯৪/৯৫ সাল থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং দৈনিক পত্রিকাগুলো থেকে গল্প, কবিতা প্রায় সব পড়ে ফেলতাম।

কলেজে ওঠার পর যোগ হয়েছে একাধিক লেখকের বই, কবিতা, অনুবাদ ইত্যাদি। মনে দাগ লাগার মতোন সেরা বই অনেক আছে, তার মধ্যে ম্যাক্সিম গোর্কির ‘ম ‘ বইটার কথা মনে পড়ছে এই মূহুর্তে, কারণ সাদার চরিত্রটি ভুলতে পারি না।

প্রিয় লেখক অনেকেই আছেন, এরমধ্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, হুমায়ুন আহমেদ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়। বর্তমান বাংলাদেশের লেখকদের বই পড়ছি।

সংসার জীবনে বই পড়া বেশ স্থবির হয়ে পড়েছিল কিন্তু ভাষাচিত্র পরিবারে এসে সেই কলেজ জীবনে বই পড়ার দিনগুলোই যেন ফিরে পেলাম। এজন্য ভাষাচিত্র পরিবার কে ধন্যবাদ জানাই। বন্ধুদের প্রেরণা ও সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বই সংগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বই নিয়ে স্বপ্ন আমার আকাশ ছোঁয়া! স্বপ্নের একটা লাইব্রেরি হবে। লাইব্রেরিতে কোন বুক সেলফ থাকবে না, থাকবে শুধু ঘর ভর্তি বই আর বই। তিল তিল করে গড়ে উঠুক আমার স্বপ্ন। কলেজে পড়ার সময় প্রায় পাঁচশত বই সংগৃহীত ছিল, কিন্তু জীবন পরিক্রমার কারণে ধরে রাখতে পারিনি। আরও একটি কাজ করতে চাই সেটা হলো অন্যদেরকে বই সংগ্রহে সহযোগিতা করা।

বাস্তবে আমি ভীষণ প্রকৃতি প্রেমী। মাঝে মাঝেই প্রকৃতির কাছে চলে যাই। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। জোছনা রাতে চলে যাই ছাদে। এলোমেলো স্বভাবটা এখনো যায়নি। প্রচুর গান ও গজল শুনি।

ব্যক্তিগত জীবনে এবং ভাষাচিত্র পরিবারের সাথেই বই নিয়ে থাকার ইচ্ছা। লেখালেখি তেমন হয় না বিভিন্ন কারণে। লিখতে গেলেই আগে পড়া শুরু করি আর পড়তে পড়তে সময় চলে যায়, লেখা আর হয় না তবে আমি একজন সৃজনশীল পাঠক, যে কি না সবার লেখাই পড়ে বা পড়ার চেষ্টা করে এবং বই পড়ে আলোকিত জীবন গড়তে চায়। সময় ও সুযোগ মিলে গেলেই চলে যাই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে। দারুণ লাগে… এটাই আমি…

 


[ আপনি যদি বইপ্রেমী পাঠক হয়ে থাকেন, আপনার সম্পর্কে, আপনার বই পড়া সম্পর্কে, আপনার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ পাঠক প্রোফাইল পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইলে। আপনার প্রোফাইল প্রকাশিত হবে আমাদের অনলাইলে। এছাড়া  বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : boideshnews@gmail.com ]

Facebook Comments Box

কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Design & Development by: TeamWork BD