মাহমুদ রাইয়ান। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার আজিমপুর নামক এলাকায় জন্ম। ছেলেবেলা কেটেছে এখানেই। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর।
শৈশব থেকে ইতিহাস জানার আগ্রহ ছিল প্রচুর। সে হিসেবে পাঠ্য পুস্তকের ইতিহাস বই এবং অন্যান্য বইয়ে থাকা গল্পাকারে ইতিহাস পড়ার মাধ্যমে ঝোকঁ শুরু হয়।
পরবর্তীতে সব বিষয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে ইসলামিক উপন্যাস দিয়ে শুরু হয়। পাশাপাশি তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা রাজত্ব করতে থাকে। এটা কিছুকাল চলার পর নতুন মোড় নিয়ে ঢুকে পরে হরেকরকম বইয়ের পৃথিবীতে।
সত্যজিৎ রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদসহ পূর্বের, সমকালীন সব লেখকদের বই পড়া শুরু করি।
অ্যাডভেঞ্চার বই, উপন্যাস, কবিতার বই প্রচুর ভালোবাসি।
যখন যে বই হাতের কাছে পাই তখন সেটাই পড়ার চেষ্টা করি। লেখক দিয়ে লেখা না পড়ে লেখা দিয়ে লেখক পড়ার চেষ্টা করি। সে হিসেবে পছন্দের লেখকের লিস্ট বের করা কষ্টকর। কিন্তু কিছু দাগ তো ধীরে ধীরে গভীর হয়েই যায়। তাই আবু তাহের মিসবাহ, আতিক উল্লাহ আতিক, সৈয়দ মুজতবা আলী, হুমায়ূন আহমেদ, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, কাজী আনোয়ার হোসেনদের বেশ লাগে।
এক জায়গায় স্থির থাকতে পারি না। বিচিত্র বিষয়ের বই পড়তে ইচ্ছা হয়, বিষয়ের অলিগলিতে ঘুরতে ভালোবাসি। শখের বশে ফটোগ্রাফি করি। খেলাধুলা, বই পড়া, কবিতা লেখা, গান শোনা, ভ্রমণ করা, মহাকাশে বইয়ের কোনো গ্রহ আবিষ্কার করা, রেইন ফরেস্টে একাকী মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয়া, গভীর সাগরে জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া আমার শখেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেগুলো কিছু পূরণীয় আর কিছু হয়তো অপূরণীয় হয়ে থাকবে। তাই সেগুলোকে স্বপ্ন থেকে টেনে শখে স্থান দিয়েছি। যদি কিছুটা হলেও নিকটে থাকে।
প্রবল আসক্ত লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আর বই পড়ার মধ্যেই। এর কারণে হারিয়েছি অনেক কিছু, পেয়েছিও অনেক কিছু। প্রথমে ডিম লাইটের আলোতে বই পড়ার কিছুদিন পর ওই আলোতে লেখা দৃষ্টিগোচর না হওয়ার দরুণ এলাম এলইডি ঘড়ির আলোতে। এভাবে ধাপে ধাপে উপরের দিকে। ফলে হারিয়েছি দৃষ্টিশক্তির কিছু অংশ। যেটা ইতিবাচক নয় মোটেও। ভালো লাগে আবছা আলোতে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বই পড়তে, যেখানে আমি, আমি, শুধু আমিই।
আর স্বপ্নে হাতড়াই সেই দিনগুলোকে যখন সকাল থেকে রাত অবধি পাঠাগারেই কাটাতাম। চাই একটা বইয়ের শহর হোক, যেখানে বইপ্রেমীদের মিলনমেলা হবে। তারা পাশের ব্যস্ততা থেকে সময় বের করে এখানে এসে ডুবে যাবে।
শেষ স্বপ্ন একজন লেখক হবো। নিজের ভালোবাসার লেখাগুলোকে বহুদূর উড়তে দিবো। যখন দেখবো লেখাগুলো একটি চারকোণা শ্রেণিবদ্ধ আকারে মানুষ গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছে তখনই হবে এর সার্থকতা।
আমি লিখবো, কারণ লেখা আমার অঙ্গ। আর অঙ্গ কখনোই ব্যবসায়িক পণ্য হতে পারে না। যার মর্যাদা নির্ধারিত হয় মূল্য বেশি-কম হওয়ার ওপর। খাবার জোগানোর মাধ্যম হিসেবে এটাকে কখনো বেছে নিবো না।
তাই এখন আমি শিখতে চাই। খুব শিখতে চাই। কিভাবে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে তাদের লক্ষে পৌঁছে দিতে সমর্থ হবো।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর
সবার আমি ছাত্র ।
নানা ভাবে নতুন জিনিস
শিখছি দিবা রাত্র।
এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়,
পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায়
শিখছি সে সব কৌতূহলে,
নেই দ্বিধা লেশমাত্র।
[ আপনি যদি বইপ্রেমী পাঠক হয়ে থাকেন, আপনার সম্পর্কে, আপনার বই পড়া সম্পর্কে, আপনার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ পাঠক প্রোফাইল পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইলে। আপনার প্রোফাইল প্রকাশিত হবে আমাদের অনলাইলে। এছাড়া বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : boideshnews@gmail.com ]
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD