সরকারি ক্রয়তালিকায় লেখক নামে বই জমা বন্ধ হোক
।। রফিকুজ্জামান হুমায়ুন ।।
সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে বই প্রকাশ করেন প্রকাশক ৷ লেখকের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক লেখক সম্মানীও দিয়ে থাকেন প্রকাশক ৷ স্বাভাবিকভাবে যে-কোনো সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্তির জন্য বই জমাপ্রদানের অধিকার একমাত্র প্রকাশকেরই থাকার কথা ৷ অথচ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে লেখকগণও বই জমা ও তালিকাভুক্ত করার সুযোগ পান ৷ একইসঙ্গে একই বই লেখকও জমা দেন, আবার প্রকাশকও জমা দেন ৷ বিষয়টি সাংঘর্ষিক—যা কারও কাম্য নয় ৷ এছাড়া অনেক প্রকাশকও তার ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রকাশনার পাশাপাশি লেখকের নামেও বই জমা দিয়ে থাকেন ৷ এভাবে জমা দেওয়ার পদ্ধতি চলতে থাকলে, বইয়ের তালিকাই শুধু ভারি হবে, বইয়ের সংখ্যা বাড়বে না ৷ বরং সুবিধাবাদী কিছু প্রকাশক ও লেখকই উপকৃত হবেন আর অধিকাংশ প্রকাশক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৷
আমরা সৃজনশীল প্রকাশকগণ মনে করি, আমরা তো লেখকের বই-ই তালিকাভুক্ত করার জন্য নমুনাসহ জমা দিয়ে থাকি এবং বই তালিকাভুক্ত হলে যথারীতি লেখক সম্মানীও দিয়ে থাকি ৷ তাহলে লেখকের পক্ষে বই জমা দেয়ার নিয়ম কেন থাকবে? বিষয়টি সাংঘর্ষিক, অযৌক্তিক এবং অনিয়মতান্ত্রিক ৷ এর সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত সুরাহা হওয়া অতি জরুরি বলে আমরা মনে করি ৷
আমরা আশা করি, “বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি” এবং “বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি” বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন ৷ প্রকাশকদের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
রফিকুজ্জামান হুমায়ুন, প্রকাশক, জনতা প্রকাশ
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD