আমি বীরাঙ্গনা বলছি
লেখক : নীলিমা ইব্রাহিম
প্রকাশনী : জাগৃতি
মুদ্রিত মূল্য : ৪০০ টাকা
‘আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ নারীত্ব, আমার দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি, তবুও কোনো মিনারে আমার নাম খোদাই করেনি। সম্ভবত লজ্জায়’
— আমি বীরাঙ্গনা বলছি
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের রয়েছে এক রক্তাক্ত ইতিহাস। ৩০ লক্ষ শহীদের ইতিহাস আমরা জানি, গর্বিত হই। জানি না ২ লক্ষ নারীত্বের ইতিহাস, জানতেও চাই না, লুকিয়ে রাখতে চাই, লজ্জিত হই এই ইতিহাসে।
আমাদের স্বাধীনতা ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম অধ্যায় এউ বীরাঙ্গনা।
বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লেখা প্রবন্ধ, উপন্যাস কিংবা ডকুমেন্টারির খুব বেশি নেই। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় লেখক নীলিমা ইব্রাহীম এর- আমি বীরাঙ্গনা বলছি, ১৯৯৭ সালে বইটির দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয়। ধারাবাহিকভাবে বইটির তৃতীয় খন্ড প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও লেখক তীব্র অভিমানে বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লেখা বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে দুই খন্ডকে একত্রিত করে প্রকাশ করে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতি।
আমি বীরাঙ্গনা বলছি- বইটি মূলত একটি ডায়েরী, চিঠি ও স্মৃতিচারণ গ্রন্থ যেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালী নারীদের নৃশংসতা উঠে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য, নির্মম, যন্ত্রণার ইতিহাস বইটি। বইটিতে সাতজন নারীর, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হওয়ার গল্প উঠে এসেছে।
লেখকের ভাষ্যমতে, বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লিখতে গিয়ে তাঁর হৃদয় ও মস্তিষ্কের ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছিলো।
স্বাধীন বাংলার নাগরিক হিসেবে বইটি পড়া কর্তব্য বলে মনে করেন অনেকে। সকলের অগোচরে রয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের এই অংশটির ইতিহাস সকলকে জানতে সহায়ক গ্রন্থ, আমি বীরাঙ্গনা বলছি ।
[ বই-পুস্তক-প্রকাশনা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের যে কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য আমাদের ই-মেইল করতে পারেন : desherboi@gmail.com ]
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD