।। স্বপন পাল ।।
অনেকদিন আগে, এক বন্ধুর মৃত্যুতে লিখেছিলেন ‘মৃত্যু বেশ ভালোভাবেই জাপটে ধরেছে আমাদের।’
বন্ধুর মৃত্যু আপনার প্রাণে-মনে বড়ো নিঠুরভাবে বেজেছিল বলেই অমন করে বলেছিলেন। আজ দাপুটে করোনা’র আক্রোশে ‘মৃত্যু বেশ ভালোভাবেই জাপটে ধরেছে আমাদের’ সবাইকে এবং আপনাকেও নিয়ে গেল আমাদের থেকে, অন্যলোকে!
‘সব তো ঠিক করাই আছে।
এখন কেবল বিদায় নেওয়া,
সবার দিকে চোখ,
যাবার বেলায় প্রণাম, প্রণাম!’
চলেই গেলেন শঙ্খ ঘোষ। কবি হিসেবেই অধিক পরিচিত, কিন্তু গদ্য লিখতেন অসম্ভব সুন্দর। অনুবাদক হিসেবেও রেখেছেন নিপুণ শৈলীর স্বাক্ষর! ছিলেন রবীন্দ্র-অনুধ্যানশীল এক পরিপূর্ণ মানুষ!
বহুদিন আগে লিখেছিলেন ”…সেই দুঃসহ আড়ালে বসে সে তৈরি রাখবে একটা দৈনন্দিনের মুখোশ, তাকে কেউ চিনবে না, আঙুল তুলে বলবে না ‘এই লোকটা কবি’। আর তার ভেতর থেকে গোপনে জন্ম নিবে নিঃশব্দ কবিতা।”
তাই তো কোনো ঢাকঢোল পিটানো নয়, যশ-খ্যাতির মোহ নয়, লিখেন,
‘চুপ করো
শব্দহীন হও
শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর
লেখো আয়ু, লেখো আয়ু।’
সময়ের চৈতন্যকে জাগিয়ে দিয়ে তিনিই বলতে পারেন,
‘আমি আড়াল চেয়েছিলাম চার কিনারে,
কিন্তু প্রভু ভুল কোরোনা রাত্রি সকাল
পথই আমার পথের আড়াল।’
পথই যার পথের আড়াল, সেই মানুষের কবিতায় তাই উঠে এসেছে পথের মানুষের কথা,তাদের কান্না, দ্রোহ,-
‘ভিখিরির আবার পছন্দ
ঠিকই পেয়ে যাব যে-কোনো ঠাঁই
আবারও ভাঙার প্রতীক্ষায়
কেটে যাবে দিন আনন্দে।’
এর আগেই তিনি লিখেছেন,-
‘ভাঙবার শুধু সময় চাই
এ রাস্তা থেকে ও রাস্তায়
হব কদিনের বাসিন্দা
কে না জানে সব অনিত্য।
কে না জানে সব অনিত্য
নিয়ে যাই তাই খড়কুটো
বেঁচে যে রয়েছি এই-না ঢের
ভিখিরির আবার পছন্দ!’
মধ্যবিত্তের নির্বিকার সমাজ-সংস্কৃতি তাঁকে ব্যথিত করেছে, ক্ষুব্ধ করেছে; আপন বলয়ের সেই অসহায়তা দেখে তিনি বলেন,
‘আমাদের লুব্ধতা ও হীনতা, আমাদের বৃহৎ সামাজিক বাজার, চারপাশ থেকে আমাদের ভাষাকে করে তোলে নিঃশীল, নিঃসাড়। আর ততই চারিদিকে জেগে ওঠে শব্দ গৌরব।… যে কেউ এসে বলতে পারেন, আমাদের এ-হলো প্রকাণ্ড এক শব্দজীবী সংস্কৃতি, ফাঁপা, অলস, ভণ্ড’। এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে তাঁর উচ্চারণ ছিল দৃঢ়;-
‘ভ্রষ্ট হয়ে গেলে দিন, ভ্রষ্ট হয়ে গেলে সন্ধ্যাবেলা,
বিন্দু বিন্দু পরিত্রাণে ভ’রে যায় আত্মবলিদান। ‘
বলেছেন এভাবেও,-
‘বহু কষ্টে শিখেছি সাঁতার
অন্তত স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাওয়া শক্ত নয় আর,
নদীতেও নানা বাঁক আছে;
সেগুলোর কোনওটাতে ঠেকে গিয়ে বাঁচে
এমন লোকেও যারা সাঁতরের স-টুকু জানে না।’
তাঁর জোরালো আর আকুল উচ্চারণ,-
আর সকলে মিথ্যা বলুক, দু-চারজনের কাছে আমরা সত্য চাই,
আর সকলে ভ্রান্ত করে করুক, দু-চারজনের কাছে ব্রত চাই আমরা।’
সময়কে, দেশকে কখনো এড়িয়ে যাননি তিনি, তাই তো বলতে পারেন,
‘একটি কথা কখনৈ বলব না ভেবেছি সোজাসুজি
হয়নি তা বলার সময়
আছি, তবু ভাঙা এই দেশকাল নিয়ে আজও আছি-
এরও চেয়ে বড়ো কিছু হয়?’
কবিতা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন শঙ্খ ঘোষ। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা ব্যক্তিগত সত্য আছে, সমাজের সত্য আছে, গোটা জীবনেরও কোনো সত্য প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে কোথাও। তিন দিক থেকে এসে কোনো এক বিন্দুতে এদের সংঘর্ষ হয় একটা, আর সেটাই হয়ে উঠে কবিতার মুহূর্ত।’
সমসাময়িক ঘটনাবলি ও আদর্শ ভ্রষ্টতা নিয়ে ক্ষোভ ও বেদনা-ছড়ানো কবিতার বই ‘লাইনেই ছিলাম বাবা।’ বইটি পড়ে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এতটাই উদ্বেলিত হয়েছিলেন যে, সাথে সাথে শঙ্খ ঘোষের মুখটি আঁকবার চেষ্টা করছিলেন। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুনীল লিখেছেন, ‘সেই আঁকিবুকি দেখে কেউ কিছু বুঝবে না৷ কিন্তু আমি তাঁর মুখখানি স্পষ্ট দেখতে পাই।’ সুনীলের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, আমরা যারা শঙ্খ ঘোষকে আপন করে নিয়েছি, যারা মনে করি তাঁর কবিতায়, তাঁর গদ্যে আমাদের বলতে না-পারা কথাগুলো উঠে এসেছে অপূর্ব সুন্দর তেজে ও ভঙিমায়, তাদের বুকের ভেতর, তাদের ভাবনার ক্যানভাসে আঁকিবুকি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, আর কেউ টের না পেলেও আমরা ঠিকই দেখছি দৃঢ় অথচ কোমল স্নিগ্ধ এক মুখচ্ছবি, আর শুনছি সেই অমিয় কথামালা, এই সময়ে যা হয়ে উঠেছে সকল মঙ্গলকামী মানুষের,-
‘এসো ভালোবাসো, এসো সন্দেহ করো না, ভালোবাসো।
মাটি ছুঁয়ে কথা বলো, হাতে হাত রাখো, চুপ করো
পলির প্রসাদে নাও মুছে নাও পাড়ের পাথর
দেখো তার কাছে এসে নুয়ে আছে আহত মানুষ।’
আমাদের এই ভূখণ্ডেই জন্ম বেড়ে ওঠা তাঁর। উদ্বাস্তুর অভিজ্ঞতা আর পূনর্বাসনের উদ্যোগের মধ্যে কাটে শৈশব কৈশোর এবং প্রথম যৌবন, লেখায়ও উঠে এসেছে তা,-
‘কী ছিল বয়স কী ছিল হৃদয়,
তখন পদ্মা আমাকে দিয়ে দিয়েছিল বিদায়-
আজ ক্ষণে ক্ষণে জানি তুমি নও তুমি নও,
আমিই আমাকে ছেড়েছি মধ্যরাতে।’
তাই একাত্তরে বিজয়ী বাংলাদেশের হয়ে লিখেন
‘দেশহীন’ শিরোনামে এক আত্মমর্মর এক কবিতা,-
‘আজ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, জয়
কিন্তু সে কথা বলা আমার সাজে না …
আমার বুকে পালানোর পালানোর আরও পালানোর দেশজোড়া স্মৃতি
তাই আজ যদি দুহাতে তুলতে চাই অভয়
কেঁপে যায় হাত, মনে পড়ে
এত দীর্ঘদিন আমি কখনই তোমার পাশে ছিলুম না
না
সুখে না দুখে না লাজে না
তবু তোমার সামনে আজ বলতে চাই জয়
যে কথা বলা আমার সাজে না।’
বাংলাদেশকে চেতনায় ধারণ করতেন আমূলভাবে। তাই তাঁর বাংলাদেশ বিষয়ক চিন্তাভাবনা নিয়ে প্রকাশিত ‘সন্ধ্যানদীর জলে বাংলাদেশ’ বইয়ে ‘আত্মপ্রসঙ্গ’ শিরোনামে কথনে লিখেছিলেন,
‘বাংলাদেশ নিয়ে আমার লেখার সংকলন যদি হয় তবে তো আমার প্রায় সমস্ত রচনাই এর অন্তর্গত করতে হবে। এমন কবিতা কমই লিখেছি যার মধ্যে -শব্দে বা প্রতিমায় -বাংলাদেশ প্রচ্ছন্ন হয়ে নেই। স্মৃতিমূলক এমন গদ্যও আছে কম, অন্তঃসারে যা বাংলাদেশকেই ধারণ করে রাখেনি। এ তো সত্যি যে মুহূর্মুহূ আমি বেঁচে থাকি বাংলাদেশের মধ্যেই। ‘
বন্ধু ওয়াহিদুল হকের প্রয়াণে শোকলিখনে লিখেছিলেন, –
“সে চলে গেল বলেই তার স্বপ্ন নিশ্চয় থমকে যাবে না পুরোপুরি? নিশ্চয় অনেক সঞ্চয় সে রেখে গেছে তার চারপাশে। একজন স্বপ্নদ্রষ্টার জীবনাবসানের পর ধারাবাহিক এইসব আশাই শুধু শান্ত্বনা হয়ে জেগে থাকতে পারে, ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ তখন গোটা দেশের সঙ্গে জীবনের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে ফেলতে পারে, তখনই সে ফিরে ফিরে বলতে পারে ‘হৃৎকমলের রাঙা রেণু রাঙাবে এই উত্তরীয়।’ ওয়াহিদুল হকের হৃৎকমলে আজও ভরে থাকুক বাংলাদেশ।”
আমরাই বলতে চাই শঙ্খ ঘোষের হৃৎকমলে আজ ভরে থাকুক বাংলা সাহিত্য।’
বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ বাংলার সাহিত্য জগতকে অনেকটা খালি করে চলে গেলেন শঙ্খ ঘোষ । বলা যেতে পারে তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে অবসান হল বাংলা কবিতার একটা যুগের, যা তৈরি হয়েছিল, সুনীল-শক্তি-উৎপল-বিনয়-শঙ্খ’এর হাত ধরে।
শঙ্খ ঘোষের লেখায় একদিকে ছিল সামাজিক রাজনৈতিক যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অন্যদিকে ছিল এক অতলান্ত আত্ম-সন্ধান!
ভারতের আরওয়ালে উচ্চবর্ণের গুণ্ডাবাহিনী রণবীর সেনা একদা সংঘটিত করেছিল মারাত্মক গণহত্যা। উচ্চবর্ণের এই নারকীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শঙ্খ ঘোষ । চিরকালই যে প্রান্তিক মানুষ অত্যাচারিত হয়, তাদের রক্তে রচিত হয় নিত্যনতুন জালিয়ানওয়ালাবাগ। এ-সত্যই তাঁর কবিতায় প্রাণস্পর্শী হয়ে উঠেছে,-
‘আমার সবটাই আলো আমার সবটাই অন্ধকার
আমার সবটাই জন্ম আর আমার সবটাই মৃত্যু-দ্বার
আমার ধর্মও নেই আমার অধর্ম নেই কোনো
আমার মৃত্যুর কথা যদি কেউ দূর থেকে শোনো
জেনো – এ আমার মাটি এ কাল আমার দেশকাল
জালিয়ানওয়ালাবাগ এবার হয়েছে আরওয়াল!
দেখো রে মানুষ দেখো, একুশ শতকে চলে দেশ,
আমার মৃত্যুরও নেই আমার জন্মেরও নেই শেষ।”
ক্লেদ গ্লানিময় প্রবঞ্চনাপূর্ণ ভিরের মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি লিখেন,
‘আরো কত ছোটো হব ঈশ্বর
ভিড়ের মধ্যে দাঁড়ালে!
আমি কি নিত্য আমারও সমান
সদরে, বাজারে, আড়ালে?’
‘জন্ম নিতে-না-নিতেই মরে যায় মুহূর্ত, পেতে-না-পেতেই হাতছাড়া হয়ে যায় পাওয়া। এই এক মৃত্যুগহ্বর ঘিরে আছে আমাদের সমস্ত জীবন। কিন্তু সেই মরণলোক থেকে উঠে আসে স্মৃতির পর স্মৃতি, কানাকানি হতে থাকে এ-পারে ওই-পারে। জীবনের দায় থেকে পালাই না আমরা, দু-হাত দিয়ে ধরতে চাই তার সমস্ত প্রত্যঙ্গ, মুখে নয় কোনো গ্লানির চিহ্ন, অমলের সৌন্দর্যে ভরে যায় দশদিগন্ত, নিজেকে উদগত করে তুলতে চাই উদ্ভিদের মতো সজীব-কিন্তু তারই মধ্যে বুকের পিছনে ধ্বনিত হতে থাকে ক্ষান্তিহীন এক গোপন স্বরঃ ‘ও চাঁদ, চোখের জলে লাগলো জোয়ার’। এমন করে নিজেকে চেনার পথ আর কে দেখিয়ে দিবে শঙ্খ ঘোষ ছাড়া!
কে আর আত্ম-উদবোধনের কথা শোনাবে এমন নিবেদনের সুরে,-
‘নিজেকে নিজের দিক থেকে ছাড়িয়ে নেওয়াই হলো আমাদের প্রধান এক সমস্যা, কেননা সকলের সঙ্গে মিলবার পথে আমাদের অহংই হয়ে দাঁড়ায় বড়ো বাধা। আত্মসচেতন মানুষ বুঝতে চায় সেই বাধার পরিমাণ, অতিক্রম করতে চায় তাকে, তার আত্মপরিচয় ক্রমে বিস্তারিত হয়ে দেখা দিতে থাকে তার দেশের পরিচয়ের মধ্যে, তার কালের পরিচয়ের মধ্যে। নিজের খোলস ভেঙে মানুষের এই আত্মসচেতন বিস্তারের ইচ্ছে, বিশ্বের সঙ্গে আমির এই সংযোগ, আধুনিকতার এই হলো এক বড় লক্ষ্মণ ‘।
শঙ্খ ঘোষকে অনুভব করতে চাইলে, বুঝতে চাইলে,-যা এখনও অনেকেই পারিনি, তাঁর চিন্তার কিছুটা কাছাকাছি যদি নিয়ে যেতে চাই নিজের মন ও মননকে, তা হলে শঙ্খ ঘোষের কবিতা ও প্রবন্ধ বারবার পড়তে হবে। প্রত্যেকবারই দেখা যাবে কোনও নতুন দরজা খুলে যাচ্ছে চোখের সামনে।
৮৮ বছর বয়সে পৌঁছেও গতবার শারদীয় দেশে লিখেছেন অসামান্য এক কবিতা । তার প্রথম লাইনটি হলাে, ‘তোমার দুঃখের পাশে বসে আছি।’ কী গভীর এই অনুভব!
তিনি কবিতায় সত্যের স্ফুরণ চেয়েছেন। তাই তো বলেন,
‘কে চায় সুন্দর কথা আর, দু-একটি সত্যি শুধু বলো।’
কে আর তাঁর মতো এমন করে বলতে পারেন,-
‘স্রোতের ভিতরে ঘূর্ণি, ঘূর্ণির ভিতরে স্তব্ধ
আয়ু
লেখো আয়ু লেখো আয়ু
চুপ করো, শব্দহীন হও।’
লিখেছেন, –
‘শুন্যতাই জানো শুধু? শুন্যের ভিতরে এত ঢেউ আছে
সেকথা জানো না?’
হ্যাঁ, আগে না জানলেও এখন টের পাচ্ছি! আপনার না-থাকার শূন্যতা কত ঢেউ তুলছে, তুলবে আরও কতকাল! ভাবি শুধু এমন সত্য কে আর বলবে,
‘আমি খুব ভালো বেঁচে আছি
ছদ্ম সংসারে কানামাছি।’
কখনো ক্ষমতাসীন দলের মুখ ও মুখোশের বৈপরীত্য দেখে কবির বিস্ময়মথিত ঘৃণা হয়েছে তুঙ্গস্পর্শী,
‘ভিতর থেকেই ভালোবাসব ভেবে
গিয়েছিলাম সেদিন তোমার কাছে,
কিন্তু এ কী আরেকরকম মুখ,
জেগে উঠলাম দহন বেলার আঁচে।’
জ্যামাইকার এক কবির লেখা অনুবাদ করেছিলেন শঙ্খ ঘোষ, সেখান থেকে কয়েক লাইন উদ্ধৃত করে আজকের অর্ঘ্য-কথনের রেশ টানতে চাই।
‘স্বপ্নে দেখা মানুষেরা বেঁচে থাকে জীবন পেরিয়ে,
তাদের মৃত্যুর সঙ্গে তাদের স্বপ্নের শেষ নয়।
রক্তের ক্ষরণ করে তাদের জীবন বয়ে যায়
মাটির গভীরে আর সেখানে তা হয়ে উঠে বীজ।
শঙ্খ ঘোষ, আপনি বেঁচে থাকবেন জীবন পেরিয়ে, আপনি থাকবেন কাল থেকে কালোত্তরে!
দেশের বই পোর্টালে লেখা ও খবর পাঠাবার ঠিকানা : boideshnews@gmail.com
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD