করোনাকালিন মহাকালে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক- সব ক্ষেত্রেই অসহায় হয়ে পড়ি। আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। বেঁচে থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে এক সময়। মানুষের নিষ্ঠুরতা অসহ্য ঠেকে। আবার এমন সব মানুষেরা ভালোবাসা আর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন- কেবলি অবিশ্বাস্য মনে হয়। ভালোবাসার মানুষগুলোর অনুরোধ আর ভেতরের তাড়নায় মনে হয়, সময়টাকে ধরে রাখা দরকার। সে চেষ্টাই করি। জানি, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে…।’
জীবনের রুটিন পাল্টে যায়। রাতের বেশি অংশ জেগে কাটাই। বিছানায় এপাশ ওপাশ করি। ঘুম আর আসে না। রাত গভীর হয়। বিছানা ছেড়ে চুপচাপ টেবিলে গিয়ে বসি। কি-বোর্ডে আঙ্গুল ছোঁয়াই। শব্দের পর শব্দ দিয়ে কথারমালা গাঁথার চেষ্টা। মালা একটা হয়। তার মধ্যে ছন্দ, সুর, তাল, লয়- কিছুই থাকে না।
মানুষের ঘৃণা, অবহেলা, ভালোবাসা, এড়িয়ে যাওয়া, সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, বাড়িওয়ালাদের নিষ্ঠুরতা, নিজে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়া, টানা কুড়ি বছরের সঙ্গী সিগারেটকেও জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলা, এসবই করোনাকালিন সময়ের সঙ্গী। আর সেসব সুখ-দুঃখের সমন্বয়ই ‘রাতকাহন’।
বই : রাতকাহন
লেখক : মেসবাহ য়াযাদ
প্রচ্ছদ : বিপুল শাহ
প্রকাশক : ভাষাচিত্র
মূল্য : ২৭০ টাকা
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD