ত্রি-চক্রযানের আত্মকথা
।। রয় অঞ্জন ।।
ধাঁধাঁ খেলাটা আগে গ্রাম-গঞ্জে বেশ চলতো। বিশেষ করে জোনাক ফোটা অন্ধকার অথবা উঠোনভাসা জ্যোৎস্নায় বউ- ঠাকুরঝিরা দুই দলে ভাগ হয়ে খেলতো। একদল অন্য দলকে হারাতে পারালে সেই কী হাসি গড়াগড়ি! আজ নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে এমনি এক ধাঁধাঁর কথা মনে পড়ে গেল। যতবার ধাঁধাঁটি মনে পড়ে, কেন যেন আমি খুশি হই না। একটা অব্যক্ত কষ্ট আমার বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। যেন এটি আমারই জীবনের কথা। একেবারেই বাকলে-বাকলে মিশ খাওয়া কথা! – “সকালে চার পায়ে হাঁটি, দুপুরে দুই পায়ে, আর সন্ধ্যায় হাঁটি তিন পায়ে”। এটা কী, বলতে পারবে? আমি বলে দিচ্ছি। এটি হচ্ছে মানুষের জীবন পরিক্রমা। ছোট্ট শিশু যখন হাতের ওপর ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ায় তখন তার চার পা হয়, হাঁটা শেখার পর থেকে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত দুই পায়ে হাঁটে মানুষ আর বুড়ো বয়সে শরীর যখন ন্যূজ হয়ে আসে, দুই পায়ের শক্তি কমে আসে, শরীরটাকে আর বইতে পারে না, জীবনের সাঁঝবেলার দিকে হাঁটা ধরে, তখন তাঁর একটা লাঠির দরকার হয়। এই লাঠিসহ তার তিন পা-ই হয় তখন। আমার জীবন পরিক্রমা হুবহু এক না হলেও আমারও দু’পা, তিন পা, চার পায়ের গল্পে ভরা জীবন। সেসবের কথা আজ শোনাবো তোমাদের। শোনাবো আমার সাথে ঘটে যাওয়া আরাম- আনন্দ, সুখ- শান্তি, প্রেম- বিরহ থেকে শুরু করে সবকিছু।
আমার জন্মের কথা অনেকটা জন্মভিটায় কুলান না হবারই মতো। যেখানে আমার প্রথম জন্ম আজ সেখানেই নাই আমি। ওখানে আমাকে খুঁজতে হয় ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে ঘেঁটে! আমার জন্ম জাপানে। আজ থেকে প্রায় আড়াই’শ বছর আগে। তখন মানুষজন পাল্কিতে করে যাতায়ত করতো। মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি ছিলেন একজন মিশনারি। চার বেহারার কাঁধে চড়ে একজন মানুষের যাতায়াতটা অমানবিক ঠেকলো স্কোবির চোখে। তিনি তখন থাকতেন জাপানের সিমলায়। ভাবতে বসে গেলেন কীভাবে এই অমানবিক কাজ থেকে মানুষকে বের করে আনা যায়। অনেক ভেবে-চিন্তে তিনি একটা বাহন বানিয়ে ফেললেন। শকটের মতো অনেকটা দেখতে। তবে চাকা ছিল দু’টি, লম্বা একজোড়া হাতল, হাতলের মাঝখানে একজন মানুষ বাহনটিকে টেনে নিয়ে যেত। স্কোবির বানানো নতুন বাহনটির আকৃতি- প্রকৃতির ওপর বিচার করে একটা যুতসই নাম দেয়া হলো। জাপানী ভাষায় ‘জিন’ মানে মানুষ, ‘রিকি’ মানে শক্তি আর ‘শাঁ মানে হলো বাহন। যেহেতু বাহনটি মানুষের শক্তি দিয়ে টানা হতো, তাই তার নাম রাখা হলো ‘জিনরিকিশা’। জন্ম হলো আমার। মানুষের মতোই চারপায়ে (দুই চাকা আর মানুষের দুই পা) আমার চলা শুরু। ভূমিষ্ঠ হলো আমার, ‘রিকিশাঁ’ বা রিকশার।
আমার জন্ম সূর্যোদয়ের দেশে হলেও, সুমো কুস্তিগীরের দেশে হলেও কোনো কুস্তিগীর আমার সাথে সংযুক্ত থাকেননি কস্মিনকালেও। তবে আমাকে নিয়ে জীবনের কুস্তি লড়েছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের খেটে খাওয়া গরীব মানুষ। আমার জন্ম সূর্যোদয়ের দেশে হলেও জাপানী সুর্যোদয় কখনো দেখেছি বলে মনে পরে না। তবে বাংলাদেশ আর ভারতের গরীব মানুষের হাত ধরে আজও প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখি আমি। তবে একটা কথা স্বীকার করতেই হয়, ফুয়েইকো নামের এক জাপানীর হাত ধরে শুরু হয় আমার বিশ্ব ভ্রমণ। তবে এই বিশ্ব ভ্রমণের সাথে ইংরেজি প্রবচন Life is not a bed of roses এর সাথে খুব মিল খায়। ফুয়েইকোর হাত ধরে আমরা ৫০ জন প্রথমে পাড়ি দেই দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের দিকে। প্রথম প্রথম সিউলে আমাদের সে কী রাজকীয় ভাব! যেন আমরা সিউলের রূপই পালটে দিয়েছি। এই রূপ পালটানোর গরিমায় প্রথমে ধাক্কা খাই ১৮৮৪ সালে। সেবার জাপানের বিরুদ্ধ্বে একটা ক্যু হয় সিউলে। জাপান থেকে এসেছি, সে অপরাধে পণ্য বর্জনের মতো আমাদের ৫০ জনের মধ্যে ৪০ জনের হাড়গোড় গুড়িয়ে দিল কোরিয়ানরা। একান্ত বাধ্য হয়েই দেশ ছাড়লাম। চায়না ঘুরে এলাম ভারতে। কলকাতায় এসে ধাক্কা খাই আরেকটা। একজনে হাতে ধরে টানে আর দুজন মানুষ আমার উপরে বসে থাকেন। এই দৃশ্যটাকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়ে ২০০৫ সালে আমাকে সমূলে বিনাশ করতে একটা আইন প্রণয়ন করলেও নানান কারণে সেই আইন আর আলোর মুখ দেখেনি আজও। ফলে এখনও সিটি অব জয়ের প্রকৃত অনুসঙ্গ গড়ের মাঠ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, ট্রাম, মেট্রোর মতো আমার নামটি আজও অক্ষত হয়ে আছে।
বার্মা হয়ে বাংলাদেশে এসে আমি পেয়েছি খ্রিস্টের সম্মান। শোভনের কথা হয়তো তোমাদের মনে নেই। আমি তাকে ভুলবো না। শোভনের ছিল চিঠি লেখার অভ্যাস। রোজ নিয়ম করে ওষুধ খাবার মতো করে চিঠি লিখত সে। বাজার কমিটি থেকে শুরু করে স্কুল কমিটি, রেল সেবা থেকে স্বাস্থ্য সেবা, মন্ত্রণালয় থেকে ভজনালয় হেন কোনো জায়গা ছিল না, যেখানে শোভন চিঠি লেখেনি। এমন চিঠি লেখার ছলে আমাকে নিয়ে একটা চিঠি পাঠিয়ে দিলো গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে, দাবি করে বসল “পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি রিকশা আছে ঢাকায়”। শুরু হয়ে গেল তদন্ত আর পরীক্ষণের। গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ শোভনের চিঠির সত্যতাও পেয়ে গেল। ব্যস, আমার নাম উঠে গেল তাদের বইতে, সাল ২০১৫। বাংলাদেশে এসে আরেকটা সম্মান পেয়েছি আমি। যা আমাকে ইতিহাসের মর্যাদা দিয়েছে। ২০১১-এর বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসলো বাংলাদেশে। বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আয়োজন করলো এই আসর। যার উদ্বোধন হলো ঢাকায়। সেবার বিশ্বকাপের সব দলের অধিনায়ক আমার ওপর চড়ে প্রবেশ করেছিলেন ঢাকার মাঠে। অবাক বিস্ময়ে আমাকে দেখলো বিশ্ববাসী।
রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাকে সম্মান দেখানো হলেও সম্মান পায়নি আমাকে নিয়ে যারা জীবনকুস্তি লড়ছেন, সূর্যোদয় দেখিয়েছেন, বলছি আমার চালক বা মনিবের কথা। কথায় কথায় চড়-থাপ্পড়, গালিগালাজ চলে বীণা প্রতিবাদে। খুব কষ্ট হয় আমার। এখন অবশ্য দিন বদলেছে। কেউ কেউ, বিশেষ করে মা-জননীরা আজকাল খুব সম্মান দিয়ে কথা বলেন মনিবকে।
এই জীবনটাই দুঃখ-বেদনা- আনন্দ-হতাশায় ভরা। আজ তোমাদের বলব সব। এক গ্রামীণ জনপদ। গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে সড়ক। সড়ক শেষ হয়েছে সাত মাইল দূরের কলেজে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়িমিত বাহন আমি। বৃষ্টি হলেই জল-কাদায় মাখামাখি হয় মাটির সড়ক। কাদা জড়িয়ে যায় সামনের চাকার ব্রেকে। তাই বৃষ্টি হলেই ব্রেক খুলে ফেলা হয়। সিনেমায় তোমরা ব্রেক ফেল গাড়ি দেখেছ, আমাকে কখনো দেখেছ ব্রেক ছাড়া। সেই করুণ কাহিনিটাই শোনাচ্ছি। একবার কলেজ থেকে ফিরছিল দুই যুবক-যুবতী। উঁচু সেতু থেকে নামার সময় কখন যে নিজের অজান্তেই যুবতীর ওড়না আমার পেছনের চাকায় আটকে গেল! উঁচু থেকে নামছে বলে ব্রেক ছাড়া আমাকে সাথে সাথে থামানোও সম্ভব হলো না চালকের। যা হবার তাই হলো। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আমার বুকে ঢলে পড়লো মেয়েটি, মারা গেল! এরপরে আর কি হয়েছিল জানা হলো না আমার। কারণ যুবতীর মৃত্যুকাণ্ডে আশে-পাশের মানুষ সবার আগে আমার উপরেই হামলে পড়লো। এদের আক্রোশে আমার হাড়গোড় গুড়িয়ে দিলো। আমারই মরণ দশা হয়ে গিয়েছিল।
কদর পেয়েছি বহুমাত্রিক। যুবক-যুবতীর প্রেমের বেলায় আমার তুলনা হয় না। এরা উঠেই হুড তুলে দেয়। কক্ষনো গতি বাড়াতে তাড়া দেয় না ড্রাইভারকে। হুডের নিচে বসে বসে এরা কী যেন করে। আমার কিন্তু ভালোই লাগে। কারণ শত শত যুবক-যুবতীর ঘর বাঁধার স্বপ্নের স্বাক্ষী হই আমি। কদরের কথাই যদি বলি, হরতাল-অবরোধে আমার অবস্থা রাজা বাদশার মতো হয়ে যায়। আমি তিন পায়ের ওপর হাঁটার মহারাজ। একটা কথা তো বলা হয়নি। আমার খেটে খাওয়া মনকে রঙিন করার গল্প। কতশত শিল্পী আমার গায়ে শিল্পকর্ম চালিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এই শিল্প কর্মের কত শৈল্পিক নাম! কেউ বলে রিকশা পেইন্ট, কেউ বলে ফোক আর্ট, আবার কেউ তো বলেন পপ আর্ট। ফুল-ফল, পশুপাখি তো থাকেই তাবত নায়ক-নায়িকাও বাদ যান না, যারা আমার গায়ে অংকিত হন নাই। আজকাল এসব বিলুপ্তির পথে। আমার গায়ে এসব আঁকাআঁকি এখন আর হয় না প্রায়।
একদিনের চমকিত গল্পটা না বললেই নয়। বর্ষাকাল, ঝুম বৃষ্টি, ঢাকা শহর তলিয়ে যাবার উপক্রম। সবে একটা মোবাইল সেবা কোম্পানী বাজারে এসেছে। বৃষ্টির দিনে আমার নতুন পরিচ্ছদ ‘পর্দা’ লাগেই। শহরবাসী অবাক চোখে দেখল আমার নতুন পরিচ্ছদকে। সারা শহরে আমার যত জ্ঞাতি-গোষ্ঠি আছে সবার গায়ে এক পোশাক, একই রংয়ের। মনে হচ্ছিল সেদিন আমাদের ইউনিফর্ম পড়া মার্চপাস্ট হচ্ছিল। চমৎকার না?
আঁতুরঘর বলো আর বাসস্থানই বলো, সেটা প্রায় মিস্ত্রীর ঘরেই। একবার এক মিস্ত্রী আমার নতুন রূপ আবিস্কার করলেন। কাঠের চৌকুনো পাটাতন হয়ে শুয়ে থাকি। তিন চাকার উপরে শুয়ে থাকা আমি নতুন পালংক। একদমই নতুন রূপ আমার। নামও হয় নতুন। ভ্যান নামেই পরিচিত হই। মালামাল টানার বেলায় আমার বিকল্প তখন খুবই কম। অনেকটা ঈশ্বরের মতো। এক ও অদ্বিতীয়। এখন অবশ্য দিন পালটেছে। আমার রাজ্যে ইঞ্জিনের ভ্যান হানা দিলেও রাজ্য ছাড়া করতে পারেনি আজও। এখনও সগর্বে চলি রাজার মাসী-পিসীর মতো। ইঞ্জিন ভ্যান যদি মাসী হয় আমি রাজার পিসীই হয়ে থাকি।
আজকাল তো আমার গরিমা আরও বাড়তির দিকে। পাগলা মলম, ইঁদুর মারার ওষুধ, হাইব্রিড সবজির বীজ থেকে শুরু করে তরি-তরকারি, ফলমূল, কাপড়চোপড়ের ভ্রাম্যমান শপিং মল যেন আমি। এত আনন্দের মধ্যেও মহা বিরক্ত হই সিনেমাতে। আরে ভাই, তোমরা নায়ক-ভিলেন মারামারি করো, কাইজ্জা ফ্যাসাদ করো, ইচ্ছেমতো করো না, আমার মতো নীরিহের উপরে কেন এত অত্যাচার! কথা নাই বার্তা নাই, নায়কের ঘুসি-লাত্থি খেয়ে খেয়ে কেন আমার উপরে এসে পড়ো! আমার বুঝি কষ্ট হয় না! আমি কিন্তু ঈশ্বরের কাছে বিচার দেব।
মনোয়ারা খালা এক বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। সারাদিন হাড় ভাংগা খাটুনি খেটে কর্তা গিন্নীর দেয়া খাবার আঁচলের নিচে করে নিয়ে যান বস্তিঘরে। প্রতিরাতে খাবারের জন্য এক গণ্ডা ছেলেপুলের সাথে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকে হাভাইত্তা মরদ ফরিদ মিয়া। বউয়ের কামাই খেতে খেতে মরদের গায়ে চিকানাইয়ের কমতি নাই। তবুও কোনোদিন খাবার কম হলে বা আসতে দেরি হলে মনোয়ারা খালার কপালে জুটে অশ্রাব্য গালিগালাজ, মাঝেমধ্যে মাইরও। ভাত দেয়ার মুরোদ নাই, ভাতার সেজে বসে থাকা ফরিদ। এত অত্যাচার সইয়ে সইয়েও কিছু টাকা জমিয়ে স্বামীকে একটা ভ্যন কিনে দেন, যেন কিছু বাড়তি আয় রোজগার হয়। কিন্তু তাতে হবে কী। যার লেজ শারমেয় তা কেন সোজা হবে! প্রতিদিন আমাকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেও কাজ করে না ফরিদ মিয়া। এক বাড়ির নিচে বসে থাকে সে। আর অপেক্ষা করে সেই বাড়ির ঝি আসমা কখন বের হবে। বের হলেই আসমাকে নিয়ে চলতে থাকে এ গলি ও গলি। আসমাকে আমার একদমই সহ্য হয় না। সারাক্ষণ খালি মনোয়ারা খালার অভাবী মুখটা চোখে ভাসে আমার। আসমাকে তার বাড়ি নামিয়ে দিয়ে খালি হাতে ফিরে বস্তি ঘরে। ঘরে গিয়ে বলে কোনো আয়-রোজগার হয়নি। কী মিথ্যুক, কী মিথ্যুক!
একটা কষ্টের কথা বলি। সেদিন মেডিক্যালের মর্গের সামনের গাছতলায় শেকলে বাঁধা আমি। আশেপাশে প্রচুর লোক, কেউ হাউমাউ করে কাঁদছে, কেউ বা আবার নীরব চোখের জলে ভাসাচ্ছে দু’গাল। চৈতি মারা গেছে, অপমৃত্যু, ফাঁস দিয়েছে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সে। চৈতির মা বারেবারে মুর্ছা যাচ্ছেন। একটু পরে ডাক পড়লো আমার। হুগলায় মোড়ানো চৈতির সেলাই করা নিথর দেহ আমার পিঠে। আমি বয়ে চলছি তার বাড়ির দিকে, যেখানে যুবতী হয়ছে সে, তার সাথে সাথে যুবতী হয়েছে বাবা-মায়ের স্বপ্ন। বাড়ির গেটে চৈতিকে নামানো হলেও আমার পিঠের বোঝা যেন হালকা হলো না। পিঠের বোঝা গিয়ে ঠেকলো আমার মনে। ঈশ্বরকে শুধুই বলেছিলাম, হায় ঈশ্বর, আমাকে চার পা দিয়েছ, তিন পা দিয়েছ, এবার দয়া করে দুই পা করে দাও। আমিও যাব আন্ধার ঘরে চৈতির সাথে। ঈশ্বর আমার কথা শুনলেন না। সবার ডাক কি আর ঈশ্বরে পৌঁছায়! পোঁছালো না আমার ডাকও।
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD