মাহফুজ রিপন-এর একগুচ্ছ কবিতা
রাতের অ্যামিবা
তোমার মিথিলা বুক থেকে শুষে নেব সমস্ত লবণ
ওষ্ঠ ও অধর কেঁপে কেঁপে নিচের দিকে গড়াবে।
নীল নাভির সম্পাদ্যে রসের তরি ভিড়বে
সুখের চাপা মৈথুনে পাব সাদা বালিহাঁস।
মধ্যরাতের মাতাল নাগর বিপ্রলব্ধ বোঝ না!
মেঘবিদ্যুতের মাখামাখিতে নেমেছ ভাব রসে
হ্যালোজেন আলোতে জুঁইফুল সংগীত
লাল সম্ভোগের সিঁদুর সংকেত দোহাই
রাতের অ্যামিবা সব গিলে ফেলে-
শুধু- ম্যাজিক মশাল ছাড়া।
ঘ্রাণ চোর
পৃথিবীর দু’দিক উঁচু করে রাখা যে হাত
সে হাত কিভাবে সরিয়ে দেই বলো-
এসো মিলে যাই বুকের বারান্দায়।
নদীতে ভেসে যায় গাঁদা ফুলের ঝুরি
পাহাড় চূড়ায়- আগুনের লালচে জিব
ড্রাগন ট্রি’র বাকলে মানুষের লাল রক্ত।
সবটুকু আমি ঘ্রাণ দিয়ে খুঁজে পেয়েছি
সাদা দু’চোখ অন্ধ সে কিছুই দেখে না।
মা সব দেখছেন
মায়ের ছবিটা আলমারিতে তুলে রেখেছি
যাতে মনের ছবিখানা কখনও নষ্ট না হয়।
শৈশব থেকে লক্ষ করছি আকাশে-পাতালে
গোল গোল মরীচিকার মধ্যে জ্বল জ্বল করে।
ইস্কুল পেরিয়ে কলেজের বারান্দায় আসলাম
বোধের অবক্ষয় ঘটলেই সামনে ছায়ামূর্তি।
যে দিন তুমি উষ্ণ হাত রাখলে আমার হাতে
সেদিন থেকেই মনিটরটা ঝির ঝির করে!
একলা চলি, একাই লড়ি, ভয়হীন মননে
একটাই বিশ্বাস বুকেতে- মা সব দেখছেন।
ঊনসত্তুরের- ঙ
রঞ্জন সারাজীবন তুমি আমার ব্যথা হয়েই রইলে।
মানুষ বেচা-কেনা খেলায় মেতেছে বিশ্ব
সারা গায়ে এখন নম্বর লিখে রাখি।
অস্ত্র ধরে নিজের দিকে টেনে নিয়েছে আমাকে
কালো হাত পড়লেই খনি থেকে সোনা উঠে আসবে।
ক্রোধে সর্দারের গলা টিপে ধরতে গিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,
সেদিন থেকেই নামটি পরিবর্তন হয়ে- ‘পাগল’ হয়ে গেল।
গারদঘণ্টা বাঁজলে শুধু সংখ্যাটা মনে পড়ে। বাকি সব অন্ধকার।
উজান গাঙের উরুসন্ধি
মনোযোগ বৃত্তের ধ্যান ভাঙছি
চৈতন্যের বাউল সাধনা অন্তরে।
সখী উষ্ণতা দাও বৃষ্টি পেড়ে দেব
ঢেউয়ের তালে মেঘের আলকুশি-
ডুবে যাই নাফ নদীর উরুসন্ধিতে।
মিথিলা তোমার কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘ্রাণ
ডেকে আনে পৌষের সোনা রোদ
উড়ে আসে ভাত শালিকের ঝাঁক
প্রেম ছড়িয়ে পড়ে পাখির পালকে।
পৃথিবী ছোট হয়ে আসে নুনুর নামতায়
চিত-সাঁতারে দমের খেলা চলছে-
নিঃশ্বাসে ঢুকি, প্রশ্বাসে বেরিয়ে পড়ি।
কলের গাড়ি চলছে- উজানের দিকে।
কপিরাইট © ২০১৭ - ২০২০ ।। বইদেশ-এ প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না
Design & Development by: TeamWork BD